প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫
প্রকাশিত:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থী মো. সজীব হোসেন। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নিজের দেওয়া ভোট ফলাফলে প্রতিফলিত হয়নি।
সজীব হোসেন বলেন, “গতকাল শহিদুল্লাহ হলে আমি ভোট প্রদান করেছি কার্জন হলে। ভিপি পদে আবিদ, জিএস পদে সম্রাট এবং এজিএস পদে জীমকে ভোট দিই। কিন্তু ফলাফলে দেখা যায়, জিএস প্রার্থী সম্রাটের ভোট শূন্য। প্রশ্ন হলো, আমি নিজ হাতে ভোট দিলাম, আমার ভোট গেলো কই?”
তিনি আরও দাবি করেন, ব্যালট বাতিল হলে তা প্রকাশ্যে দেখানোর নিয়ম রয়েছে। অথচ তা মানা হয়নি। এছাড়া ভোটকেন্দ্রের এক মিটারের ভেতরে প্রার্থীদের স্লিপ বিতরণ করা হয়েছে, যা আচরণবিধি লঙ্ঘন হলেও নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তার অভিযোগ, কমিশন সমান আচরণ না করে পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করেছে।
একই সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ প্যানেলের প্রার্থী রাকিব হোসেন গাজীও অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, প্রার্থী স্লিপ বিতরণে নিয়ম মানা হয়নি এবং প্রচারণায় একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
ঘোষিত ফলাফলে ভিপি পদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত মো. আবিদুল ইসলাম খান পান ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা ও শামীম হোসেন যথাক্রমে ৩ হাজার ৩৮৯ ও ৩ হাজার ৬৮১ ভোট পান।
জিএস পদে এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত তানভীর বারী হামীম পান ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এজিএস পদে মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোটে জয়ী হন, যেখানে ছাত্রদল সমর্থিত তানভীর আল হাদী মায়েদ পান ৫ হাজার ৬৪ ভোট।
তবে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন আবিদুল ইসলাম খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা। এছাড়া প্রার্থী আব্দুল কাদেরও কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী। পাশাপাশি ১৮টি হলে মোট ২৩৪টি পদে লড়াই করেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী।
➡️ এভাবে শিক্ষার্থীদের ভোটের লড়াইয়ে এ বছর মোট ৪১টি ভোট দিতে হয়েছে প্রত্যেক ভোটারকে।