এবার ভারতে জেন জিদের আন্দোলন শুরু

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

নেপালে বিক্ষোভ চলমান অবস্থায় প্রতিবেশী ভারতেও দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। দেশটির বিহার রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুতে রাস্তায় নেমেছেন হাজারো চাকরিপ্রত্যাশী। তাদের আন্দোলনে রাজধানী পাটনাসহ বেশকিছু এলাকায় স্থবিরতা নেমে এসেছে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে প্রায় তিন হাজার চাকরিপ্রত্যাশী পাটনা কলেজ প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের বাসভবনের উদ্দেশ্যে মিছিল করেন। কেতন মার্কেট, বকরগঞ্জ, গান্ধী ময়দান, জেপি গোলাম্বার হয়ে ডাকবাংলো স্কয়ার পর্যন্ত মিছিল চলতে থাকে। এতে ওইসব এলাকায় ব্যাপক যানজট ও অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।

চাকরিপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, সরকার প্রতিশ্রুতিশীল না হয়ে শূন্যপদের সংখ্যা হঠাৎ করেই কমিয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী সুনীল কুমার জানান, চতুর্থ দফা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় (টিআরই-৪) মাত্র ২৬ হাজারের বেশি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই ঘোষণার পরই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে।

ছাত্রনেতা দিলীপ কুমার অভিযোগ করে বলেন, ডোমিসাইল নীতি কার্যকর হওয়ার আগে সরকার কখনো ৫০ হাজার, কখনো ৮০ হাজার, আবার কখনো ১ লাখ ২০ হাজার শূন্যপদের কথা বলেছে। কিন্তু নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর সংখ্যা অযৌক্তিকভাবে কমিয়ে ২৭ হাজার ৯১০-এ নামিয়ে আনা হয়েছে। তার অভিযোগ, আগে বাইরের রাজ্যের প্রার্থীদের আকৃষ্ট করতে বেশি শূন্যপদের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল, অথচ এখন তা হ্রাস করে বিহারের তরুণদের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করা হয়েছে।

চাকরিপ্রত্যাশীরা মনে করিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী একাধিকবার ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এখন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ফলে বেকার তরুণদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।

বিহারে বিধানসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুটি রাজনৈতিকভাবে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পূর্ণ শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলে বিক্ষোভ আরও তীব্র আকার ধারণ করবে।

  • শেয়ার করুন